প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাসকরণঃ
এই বিশাল প্রাণীজগৎ কে স্বল্প সময়ে ও সহজে আলোচনার সুবিধার জন্য বিজ্ঞানীরা একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। একেই বলে প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাসকরণ বা প্রাণীর শ্রেণীকরণ।
শ্রেণিবিন্যাস করা...
আরও পড়ুন
প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাসকরণঃ
এই বিশাল প্রাণীজগৎ কে স্বল্প সময়ে ও সহজে আলোচনার সুবিধার জন্য বিজ্ঞানীরা একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। একেই বলে প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাসকরণ বা প্রাণীর শ্রেণীকরণ।
শ্রেণিবিন্যাস করার জন্য প্রাণীকে কয়েকটি স্তর বা ধাপে সাজানো হয়। প্রাণীর বিন্যাসের সুবিধার্থে বিজ্ঞানীগণ ৭টি ধাপ বা স্তর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যথা –
১) জগত (Kingdom), ২) বিভাগ (Phylum), ৩) শ্রেণী (Class), ৪) বর্গ (Order), ৫) গোত্র (Family), ৬) গণ (Genus), ৭) প্রজাতি (Species)
দ্বিপদ নামকরণঃ কোনো বিশেষ প্রাণী বা প্রাণীগোষ্ঠীর নির্দিষ্ট নামে শনাক্তকরণের পদ্ধতিকে বলা হয় দ্বিপদ নামকরণ।
সুইডিশ বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস সর্বপ্রথম এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তার প্রথা অনুসারে প্রত্যেক প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নামের ২টি অংশ - গণ এবং প্রজাতি মিলে এই নামকরণ করা হয়। এই দুটি অংশ মিলে প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নামকরণও করা হয়।
প্রাণীর নামকরণ ও শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তাঃ
# নামকরণ ও শ্রেণিবিন্যাসের ফলে কোনো প্রাণীগোষ্ঠীর অন্তর্গত একটি প্রাণী সম্বন্ধে কম পরিশ্রম ও স্বল্প সময়ে জানা ও শেখা যায়।
# প্রাণীকুলের পারস্পরিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন তথ্য জানা যায়।
# নতুন প্রজাতি শনাক্তকরণ সহজ হয়।
# অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পন্ন প্রাণী শনাক্ত করা যায়।
# বন্যপ্রাণী শনাক্তকরণ সহজ হয়।
# কৃত্রিম প্রজননের ফলে উন্নত জাতের প্রাণী উদ্ভাবন সহজতর হয়।
# ক্ষতিকর প্রাণী শনাক্তকরণ সহজ হয়।
কুনোব্যাঙের শ্রেণিবিন্যাসঃ
Phylum : Chordata; Sub-Phylum : Vertebrata; Class : Amphibia; Order : Anura; Family : Bufonidae; Genus : Duttaphrynus; Species : Melanostictus
কুনোব্যাঙের বৈজ্ঞানিক নাম – Duttaphrynus melanostictus