মিয়োসিস কোষ বিভাজন
- মিয়োসিস বিভাজনের এক চক্রে নিউক্লিয়াস দুইবার বিভাজিত হয়।
- প্রথমবারে নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোম পরিমাণে অর্ধেক হয়ে যায়।
- মাতৃকোষের যে দুটি নিউক্লিয়াস পাওয়া যায়, দ্বিতীয়বারে তার
প্রতিটিই আবার দুটি কোষে বিভাজিত হয়। এবার ক্রোমোজোমের সংখ্যা এবং পরিমাণ সমান থাকে।
- মিয়োসিস বিভাজনে একটি মাতৃকোষ থেকে চারটি অপত্যকোষ পাওয়া যায়, যেগুলোর প্রতিটিই মাতৃকোষের অর্ধেকসংখ্যক ক্রোমোজোম ধারণ করে (কাজেই DNA-এর পরিমাণও হয় প্রায় অর্ধেক)।
- মিয়োসিসের আরেক নাম হ্রাসমূলক বিভাজন।
যৌন জননে মিয়োসিস বিভাজন
- যৌন জননে পুং ও স্ত্রী জনন কোষের মিলনের প্রয়োজন হয়।
- পুং ও স্ত্রী জনন কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অর্ধেক, তাই জীবের যৌনজননে পুং ও স্ত্রী কোষের মিলন হয়ে জাইগোটে পূর্ণসংখ্যক ক্রোমোজোম পাওয়া যায়।
- জনন কোষ সৃষ্টির সময় এবং নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদের জীবনচক্রের কোন এক সময় যখন এ রকম ঘটে, তখন
কোষের অর্ধেক ক্রোমোজোম সংখ্যার সে অবস্থাকে হ্যাপ্লয়েড (n) বলে।
- যখন দুটি হ্যাপ্লয়েড কোষের মিলন ঘটে, তখন সে অবস্থাকে ডিপ্লয়েড (2n) বলে।
মিয়োসিস কোষ বিভাজনের পর্যায়
- মিয়োসিস বিভাজনের সময় একটি কোষ পর পর দুবার বিভাজিত হয়।
- প্রথম বিভাজনকে প্রথম মিয়োটিক বিভাজন বা মিয়োসিস -1 কোষ বিভাজন বলা হয়।
- দ্বিতীয় বিভাজনকে দ্বিতীয় মিয়োটিক বিভাজন বা মিয়োসিস -2 কোষ বিভাজন বলা হয়।
- প্রথম বিভাজনের সময় অপত্য কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেকে পরিণত হয়।
- দ্বিতীয় বিভাজনটি মাইটোসিসের অনুরূপ, অর্থাৎ ক্রোমোজোম সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।
মিয়োসিস কোষ বিভাজনের প্রয়োগ
- মিয়োসিস প্রধানত জীবের জনন কোষ বা গ্যামেট সৃষ্টির সময় জনন মাতৃকোষে ঘটে।
- সপুষ্পক উদ্ভিদের পরাগধানী এবং ডিম্বকের মধ্যে মিয়োসিস ঘটে।
- উন্নত প্রাণিদেহের শুক্রাশয়ে এবং ডিম্বাশয়ের মধ্যে মিয়োসিস ঘটে।
- মস ও ফার্ণজাতীয় উদ্ভিদের ডিপ্লয়েড মাতৃকোষ থেকে যখন হ্যাপ্লয়েড রেণু উৎপন্ন হয়, তখন জাইগোটে এ ধরনের বিভাজন ঘটে।